বেশির ক্ষেত্রেই বয়স্কদের গাঁটের ব্যথার সমস্যা দেখা দিলেও এটি হতে পারে যেকোনো বয়সের মানুষেরই । এই ধরণের ব্যথায় ঔষুধ না খেয়ে ঘরোয়া ঘরে তৈরী কিছু ঔষুধ এর উপর ভরসা করতে পারেন। অনেকেরই সারা বছর কম-বেশি এই সমস্যা হয়ে থাকে।
ঠান্ডা ও গরম পানির মিশ্রণঃ-
ঠান্ডা
ও গরম
পানি
দিয়ে
ছ্যাকা
দিলে
যে
কোনও
ব্যথা
নিমেষেই কমে
যায়
এই
কথা
আমরা
সকলেই
জানি।
ব্যথার
জায়গায়
একবার
হট
ওয়াটার
ব্যাগ
দিয়ে
ছ্যাকা
দিন
আবার
৫
মিনিট
পর
সেই
জায়গায়
বরফ
দিন।
প্রায়
৩০
মিনিট
ধরে
এই
ভাবে ছ্যাকা দিন দেখবেন অনায়াসেই গাঁটের
ব্যথা
কমে
যাবে।
অলিভ অয়েল ও লবণঃ-
বাড়িতে থাকা এমন কিছু জিনিস
থাকে যা দিয়ে হালকা ভাবে মাসাজ করলেই কিন্তু কাজ হতে পারে। এক্ষেত্রে লাগবে অলিভ অয়েল ও
লবণ। অলিভ অয়েলে প্রচুর
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা সহজেই
ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
এই লবণে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম- পটাশিয়াম- ক্যালশিয়াম- কপার – জিংক ইত্যাদি থাকে। এই লবণে থাকা মিনারেলস আপনার শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তেলের সঙ্গে এই লবণ মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় হালকা করে মালিশ করুন। এতে মাংশপেশি হালকা হবে এবং এনার্জি লেভেলও বাড়বে।
এই তেল তৈরি করার
জন্য প্রয়োজন ২০০ মিলিলিটার পানি সঙ্গে ২০ চামচ অলিভ
অয়েল।সাথে মিলিয়ে দিন ১০
চামচ সৈন্ধব লবণ। দিনে
১৫ মিনিট করে মালিশ করুন। দেখবেন হাঁটুর ব্যথায় খুবই ভাল কাজ
করে।
মেথির ভেজানো পানিঃ-
মেথি হল অতিদ্রুত ব্যথা
কমানোর সহজ
উপায়।
রান্না ছাড়াও মেথির অনেক
গুনাগুণ রয়েছে।
যারা
ব্যথায়
দীর্ঘদিন ধরে
ভুগছেন
তারা
নিয়মিত
মেথি
ভেজানো পানি
খান।
হলুদ ও আদা ও মধুর মিশ্রণঃ-
২
কাপ
পানির
সঙ্গে
কিছুটা
হলুদ
ও
আদা
ভাল
করে
ফুটিয়ে
নিন।পানি ফুটে যখন হাফ কাপ
হয়ে
আসবে
তখন
এর
মধ্যে
১ চা
চামচ
মধু
মিশিয়ে
নিন।
এই মিশ্রনটি দিনে দু’বার
খান,
দেখবেন
আর
ব্যথার ঔষধ খেতে
হবে
না।
দুধের
সঙ্গে বাদাম অ আখরোটের গুড়ার মিশ্রণঃ
দুইকাপ দুধের সঙ্গে এক
টেবিল চামচ বাদাম, আখরোটের
গুঁড়া ও সামান্য হলুদের
গুঁড়া ফোটাতে হবে, যতক্ষণ
না মিশ্রণের পরিমাণ অর্ধেক হচ্ছে।
প্রতিদিন একবার করে টানা দুই মাস এই দুধ খেলে ব্যথা থেকে উল্লেখযোগ্য আরাম পাবেন। আদাও হাঁটুর ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকর। এক্ষেত্রে, প্রতিদিন সকালে আদা চা পান করতে পারেন, যা প্রদাহ কমিয়ে ব্যথা লাঘবে সাহায্য করবে।
লঙ্কাগুঁড়ো এবং নারকেল তেলের মিশ্রণঃ-
অনেকেই হয়তো বলবেন ব্যথা সারাতে লঙ্কাগুঁড়ো আবার কী কাজে লাগে। কিন্তু অবাক হবেন যে লঙ্কাগুড়ো গাঁটের ব্যথা খুবই উপকারী। চিকিৎসকদের মতে, গাঁটের ব্যথা কমাতে ক্যাপসাইসিন খুবই কার্যকরী উপাদান। যা এই লঙ্কা গুঁড়োতে প্রচুর পরিমাণে থাকে। কিছু পরিমাণ নারকেল তেলের সঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো মিশ্রিত করে অন্তত আধা ঘন্টা মালিশ করুণ। তারপর হাল্কা গরম পানি দিয়ে জায়গাটা ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন অনেকটা আরাম লাগছে।
পিপারমিন্ট এবং ইউক্যালিপটাস তেলের মিশ্রণ
ব্যথা
সারানোর ক্ষেত্রে পিপারমিন্ট এবং
ইউক্যালিপটাস তেলের
মিশ্রণ
খুবই
কার্যকরী।
সচারচর বলতে গেলে ব্যথা
কমানোর জন্য আমরা যেসব পেইন কিলার খেয়ে থাকি, তাতে কিন্তু
সাময়িক স্বস্তি ছাড়া আর কিছুই হয় না। অনেক
সময় পেইন কিলারে সাইড
এফেক্ট হলে পেট খারাপও
হতে পারে। অতিরিক্ত
খেয়ে ফেললে কিন্তু
মৃত্যুও হতে পারে।
তাই ব্যথা কমানোর ওষুধটা
একেবারে শেষ অস্ত্র হিসেবে
সরিয়ে রাখুন। বরং
ঘরের তিরী ঔষধ ব্যবহার
করে দেখতে পারেন।
0 মন্তব্যসমূহ