রমজান মাসে রোজা রাখা অবস্থায় হাত-পায়ের নখ, শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, ও চুল কাটা যায় কি না, তা নিয়ে কিছু স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে:
১. নখ কাটা:
রমজান মাসে রোজা রাখার সময় নখ কাটা সম্পূর্ণভাবে অনুমোদিত। নখ কাটা রোজার অযত্ন বা অপ্রয়োজনীয় কাজের মধ্যে পড়ে না, তাই এটি রোজার কোনও নিয়মকে ভঙ্গ করে না।
২. শরীরের অবাঞ্ছিত লোম কাটা:
অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিকভাবে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম বা চুল কাটা রোজার কোনো নিয়মকে ভঙ্গ করে না। এটি শরীরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সহায়ক এবং এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
৩. চুল কাটা:
চুল কাটা বা চুল ছোট করার ক্ষেত্রেও রোজার কোনো সমস্যা নেই। রোজা রাখার সময় চুল কাটা ইসলামি বিধানের বিরোধী কিছু নয় এবং এটি রোজার প্রতি কোনো প্রভাব ফেলে না।
প্রাসঙ্গিক হাদিস ও প্রমাণ:
হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে:
“নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শরীরের চুল কেটে ফেলতেন এবং কখনোই তা পছন্দের বাইরে রাখতেন না।” (বুখারি ও মুসলিম)
এছাড়া, ইবনে কুদামাহ (রাহ.) বলেন:
“রমজান মাসে রোজা রাখা অবস্থায় চুল কাটা এবং নখ কাটা সম্পূর্ণভাবে মাকরূহ নয়, বরং এটি নির্ধারিত ও অনুমোদিত কাজ।” (মুগনি)
অতএব, রোজা রাখার সময় শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, নখ এবং চুল কাটা বৈধ এবং এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু, রোজার শারীরিক এবং আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য ব্যাহত না করার জন্য, রোজার অন্যান্য নিয়ম এবং আদব মেনে চলা জরুরি।
0 মন্তব্যসমূহ