Banner

মেহজাবীন চৌধুরী তোফাজ্জলের মৃত্যু নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন । কি সেই প্রশ্ন চলুন জেনে নেই।

 মেহজাবীন চৌধুরী সম্প্রতি তোফাজ্জলের মৃত্যু নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর এই প্রশ্নটি ঘটনাটির রহস্য এবং কারণ নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা এখনো সমাধানের অপেক্ষায়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল নামে এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয়, যার ফলে তিনি প্রাণ হারান। জানা গেছে, তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। এই নির্মম ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীও সরব হয়েছেন।



মেহজাবীন ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন গণপিটুনির মতো সহিংস কর্মকাণ্ডকে সমাজে সাধারণ ঘটনা হিসেবে মেনে নেওয়া হচ্ছে। তার এই প্রতিবাদ সমাজের নৈতিকতা ও বিচারব্যবস্থার প্রতি একটি তীব্র আহ্বান।



মেহজাবীন চৌধুরী তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন, "গণপিটুনিকে নরমালাইজ করা হচ্ছে কেন?" তার এই প্রশ্ন সমাজের চলমান সহিংসতার প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তার ভক্ত-অনুরাগীরাও এই প্রতিবাদে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।


একজন মন্তব্য করেছেন, "আবরার ফাহাদ তার মৃত্যুর আগে একটু পানি চেয়েছিল, আর তোফাজ্জল ভাইকে ভাত খাওয়ানো হয়। দুই ঘটনার মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য দেখি না। এর বিচার আজকের মধ্যেই হওয়া উচিত। কে মেধাবী, কে ঢাবি ছাত্র—এখন এসব দেখার সময় নেই।" এই মন্তব্যটি গণপিটুনির নৃশংসতা এবং ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীয়তার প্রতি আরও বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। বিচার করতে হবে মানে করতে হবে। 




মেহজাবীন চৌধুরীর পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় আরও অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন। শাহরিফ সরকার নামে একজন মন্তব্য করেছেন, "বিচার করতে হবে, মানে করতে হবে।" তিনি এ কথার মাধ্যমে ন্যায়বিচারের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, "যাই হোক, দোষটা অন্য দলের ওপর চাপিয়ে দিলে সবাই মনে করে বেঁচে যাবে। অন্যায় তো অন্যায়ই, এখানে দল টানার কী আছে?" এ মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, শাহরিফ সরকার অপরাধকে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করার প্রবণতাকে সমালোচনা করছেন। তার বক্তব্যে তিনি অন্যায়ের ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয় বা রাজনৈতিক সংযোগকে অপ্রাসঙ্গিক মনে করছেন এবং অপরাধী যেই হোক, তার শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন। সমাজে এ ধরনের পক্ষপাতমূলক বিচারব্যবস্থা যে কতটা ক্ষতিকর হতে পারে, তা তার কথায় উঠে এসেছে।




আরেকজন লিখেছেন, "বর্তমানে এই সমাজে অপরাধীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।" এটি সমাজে অপরাধের বৃদ্ধি এবং অপরাধীদের শাস্তির অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।




উল্লেখ্য, তোফাজ্জলের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করেছে, যা পরে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার আমান উল্লাহ মামলাটির আবেদন করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ