উত্তর : নারীরা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। তবে এর কিছু শর্ত আছে, আর তা হলো প্রয়োজনীয় ও ফেতনামুক্ত কথা হতে হবে। ফেতনার আশংকা না থাকলে প্রয়োজনীয় বিষয়ে পরপুরুষের সঙ্গে নারীরা কথা বলতে পারবে।
আল্লাহ তায়ালা আল কোরআনে বলেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সঙ্গে কোমলভাবে কথা বলো না, অন্যথায় যার মনে রোগ আছে, সে লালসায় পড়ে যাবে। আর তোমরা সঙ্গত কথা বলো।’ (সূরা আহযাব: ৩২)।
এখানে ‘সঙ্গত কথা’ বলতে এমন কথা বোঝানো হয়েছে যা সাধারণ, প্রয়োজনীয় এবং সীমিত পরিমাণে বলা হয়। কথার মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া কিংবা কথা বলার সময় শরীরের কোনো অংশ, যেমন চেহারা, বাহু বা হাত পরপুরুষের সামনে প্রকাশ করা নিষিদ্ধ। এ ধরনের আচরণ পরোক্ষভাবে অসামাজিক কর্মকাণ্ড, এমনকি গুনাহের দিকে ধাবিত করতে পারে।
এখানে ‘সঙ্গত কথা’ বলতে এমন কথা বোঝানো হয়েছে যা সাধারণ, প্রয়োজনীয় এবং সীমিত পরিমাণে বলা হয়। কথার মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া কিংবা কথা বলার সময় শরীরের কোনো অংশ, যেমন চেহারা, বাহু বা হাত পরপুরুষের সামনে প্রকাশ করা নিষিদ্ধ। এ ধরনের আচরণ পরোক্ষভাবে অসামাজিক কর্মকাণ্ড, এমনকি গুনাহের দিকে ধাবিত করতে পারে।
তাই, আল্লাহভীরু নারীদের জন্য জরুরি হলো, পরপুরুষের সঙ্গে নরম ও প্রলুব্ধকারী স্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকা। প্রয়োজন হলে বাইরে যাওয়া, যেমন বাজারে বা টেইলার্সে, তবে অবশ্যই পর্দার বিধান এবং ইসলামের শিষ্টাচার মেনে চলা। কথাবার্তা হতে হবে সংক্ষিপ্ত ও সঙ্গত, যাতে তা অতিরিক্ত না হয় এবং কোনোভাবেই অসামাজিক আচরণের দিকে ধাবিত না করে।
শাইখ সালেহ আল ফাওযান তাঁর বই ‘ফাতওয়াল মারআতিল মুসলিমা’-এর ৫২৬ নম্বর ফাতওয়ায় উল্লেখ করেছেন, নারীদের জন্য এসব বিধান মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং, উপরের দিকনির্দেশনা মাথায় রেখে প্রতিটি মুসলিম নারীর উচিত যথাযথ পর্দা ও ইসলামের আদব মেনে চলাফেরা করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই বিষয়ে সচেতনতা এবং সঠিকভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
শাইখ সালেহ আল ফাওযান তাঁর বই ‘ফাতওয়াল মারআতিল মুসলিমা’-এর ৫২৬ নম্বর ফাতওয়ায় উল্লেখ করেছেন, নারীদের জন্য এসব বিধান মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং, উপরের দিকনির্দেশনা মাথায় রেখে প্রতিটি মুসলিম নারীর উচিত যথাযথ পর্দা ও ইসলামের আদব মেনে চলাফেরা করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই বিষয়ে সচেতনতা এবং সঠিকভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
0 মন্তব্যসমূহ